অবশেষে রামরাজত্বের অবসান
দৈনিক ঢাকা রিপোর্টে ফুলতলার এসিল্যান্ড অফিসের ফারজানা-মতিউরের দূর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর বদলি

অবশেষে রামরাজত্বের অবসান ঘটলো। তবে দীর্ঘ দিন পর। দৈনিক ঢাকা রিপোর্টে খুলনার ফুলতলা উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারি ফারজানা-মতিউরের দূর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের বদলি করেছেন। তাদের বদলির খবর শুনে সেবা প্রত্যাশিদের মুখে হাসি ফুটেছে। শুধু সেবা প্রত্যাশি নয়। এসি ল্যান্ড অফিসের আওতায় দামোদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারি দীর্ঘ নিঃস্বাশ ছেড়ে বলেছেন আল্লাহ এখন বাঁচাইছে। কেন বাঁচাইছে এ জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মচারি বলেন, আমার সাথে নাজির ফারজানা প্রচান্ড অশোভনীয় ব্যবহার করেছে। আমার চোখের পানি ঝড়েছে। ভূমি অফিসের সেবা প্রত্যাশি মামুন বলেন, তাদের বদলি শুধু নয়, বিভাগীয় শাস্তি দিতে হবে। যাতে নতুন করে আর কোন ভূমি অফিসে গিয়ে এ ধরনের কর্মকান্ড না ঘটাতে পারে।
তথ্যমতে, দীর্ঘ দিন যাবৎ ফুলতলা এস্যিলান্ড অফিসে নাজির কাম কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা আক্তার ও সার্টিফিকেট সহকারি মতিউর রহমান ভূমি অফিসে লাগামহীণভাবে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি করে আসছিল। হাজার অভিযোগ থাকলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির ছাঁয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এ যাবৎ কাল গ্রহণ হয়নি। তবে দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট পত্রিকায় গত ২১ ফেব্রুয়ারী “নিরব ঘুষ বানিজ্য চলছে ফুলতলা এসিল্যান্ড অফিসে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মতিউর রহমানকে পাইকগাছা ভূমি অফিস ও ফারাজানা আক্তারকে তেরখাদা ভূমি অফিসে যোগদানের জন্য বদলি আদেশ হয়। এরপরেও উল্টো তাদের বদলি ঠেকাতে ওই অদৃশ্য শক্তি আদা জল খেয়ে মাঠে নামেন। তবে বদলি আদেশের পর গত ১০ মার্চ ফুলতলা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে তাদের অবমুক্ত করা হয়। কোন তদবিরে ফারজানা মতিউরের বদলি ঠেকাতে পারেনি বলে তথ্য উঠে আসে।