তদন্ত টীম গঠন, চাকরি থেকে সাময়িক বহিস্কার হচ্ছে ঃ প্রধান শিক্ষক

দামোদর মুক্তময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট ফয়সালের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ

মো. আবু হামজা বাঁধন | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ |   
পতিতাবৃত্তির সময় ফয়সাল আহমেদ সহ দুই নারীকে আটক করেছে ফুলতলা থানা পুলিশ

খুলনা :
খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর মুক্তময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট সৈয়দ ফয়সাল আহমেদ ওরফে কাজলের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দামোদর মুক্তময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক এস এম এ হালিম কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ওই ল্যাব সহাকারীকে। তবে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়াতে  অবশেষে ফয়সালের বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত টীম গঠণ সহ তাকে সাময়িক চাকরিচ্যুত করবেন বলে জানিয়েছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক।
ফুলতলা থানা সূত্রে জানা যায়,  গত ৯ মার্চ  সন্ধ্যায় হোমিও চিকিৎসক জয়দেব সরকারের ভাড়াটিয়া বাড়িতে টাকার বিনিময় পতিতাবৃত্তি করার সময় দুই নারী সহ ফয়সাল আহমেদকে স্থানীয়রা হাতে নাতে আটক করে। তাৎক্ষনিক ফুলতলা থানা পুলিশ ফয়সাল সহ ওই দুই নারীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। এ বিষয় ধৃতদের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানা পুলিশ নন এফ আই আর প্রসিকউশন নং-৭ দাখিল করে  আদালতে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, নারী কেলেংকারীর এ ঘটনায় দামোদর স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট সৈয়দ ফয়সাল আহমেদকে  স্কুল কর্তৃপক্ষ গত ১১ মার্চ কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ  নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়াতে পুনরায়  ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত টীম গঠন করেছেন । এছাড়া ১০ দিনের জন্য সামায়িক সাসপেন্ড করা হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা যায়।
দামোদর স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম এ হালিম বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ডে স্কুলের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষ‚‚ণ্য হচ্ছে। যদি তদন্তে ফয়সাল আহমেদ এর বিরুদ্ধে সব বিষয় সত্যতা প্রমাণিত হয়, তবে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলতলা থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।




মন্তব্য লিখুন :