জামায়াতকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যশোরে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, দাবি নেতাদের

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |   

জামায়াতকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যশোরের রূপদিয়ায় অন্যের জমিতে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি খুপড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোরের নেতারা এই দাবি করেছেন। জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত রোববার যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় ১৪টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের জামায়াত নেতাকর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত খবির খাঁ প্রকৃতপক্ষে জামায়াতের কোনো দায়িত্বশীল বা নেতা নন। ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে তা তাদের পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে। জামায়াতের কোনো নেতা বা কর্মীর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুযোগসন্ধানী একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার খবর পেয়ে জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলামসহ স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা গত ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই সময় নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন সান্ত¡না দেন এবং তাৎক্ষণিক ১৪টি পরিবারের ১৫ জনকে চার হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এমনকি আমরা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জোর দাবি জানিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, প্রচার সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, দফতর সম্পাদক নূর-ই- আলা নূর মামুন, জেলার সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেনসহ স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। উল্লেখ্য, যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় দরিদ্র ১৪টি পরিবারের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার সকালে দেশি অস্ত্রশস্ত্রসহ দুই ঘণ্টা ধরে এ হামলা চালানো হয়।


মন্তব্য লিখুন :